করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো আবারও বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি, আমাদের দেশে ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করোনার বিভিন্ন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, বিশেষ করে N.B.1.8.1, XFG, XFC, এবং LF-7। এর মধ্যে, N.B.1.8.1 সাব-ভ্যারিয়েন্টটি বিশেষভাবে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম শনাক্ত হয় এবং বর্তমানে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত এবং থাইল্যান্ড অন্যতম।

নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে লক্ষণ এবং চিকিৎসা

* জ্বর বা জ্বর অনুভূতি।

* কাশি, কফ, এবং দীর্ঘমেয়াদি খুশখুশে কাশি।

* শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, এবং গলাব্যথা।

* খাওয়ায় অরুচি বা নাকে গন্ধ না পাওয়া।

* নাক দিয়ে পানি পড়া এবং পেটের হজমে সমস্যা।

এ ছাড়া, যাদের আগে থেকে কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যেমন বার্ধক্যজনিত রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, হার্টের রোগ, তাদের শরীরে জটিলতা বাড়তে পারে।

বাড়িতে করোনা রোগীর চিকিৎসা
রোগীকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে, মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে হবে। স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, কারণ শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রচুর পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে, যাতে পানিশূন্যতা না হয়।

গরম পানির ধোঁয়া নাকে নিতে পারেন, তবে গরম পানি খাওয়া উচিত নয়। প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে, তবে অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।

এন্টি হিস্টামিন জাতীয় মেডিসিন কাশি এবং ঠান্ডার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো।

জটিল লক্ষণ ও হাসপাতালে ভর্তি
যাদের শ্বাসকষ্ট, শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, নিউমোনিয়া, অতিরিক্ত কাশি, অতিরিক্ত জ্বর, অথবা শরীরে অস্বাভাবিক দুর্বলতা দেখা দেয়, তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, হার্টের রোগ রয়েছে, তাদেরও দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

অন্তঃসত্ত্বা নারী ও উচ্চঝুঁকিতে থাকা রোগীরা
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যারা আগে থেকেই উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাদের চিকিৎসা আরো মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।

সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি
এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক চিকিৎসা এবং সতর্কতা গ্রহণ করলে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মোকাবিলা করা সম্ভব। সুতরাং, নিজেদের এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।